একান্নবর্তী পরিবার

ঘনাদা



পুজো এসে গেল! এই সময়ে খুব ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। কোথায় গেল, সেই সব পরিবার, যারা একসঙ্গে থাকতো! আমাদের ঢালাও করে জামার ছিট কেনা হতো! ছেলে- মেয়ে নির্বিশেষে! সেই সব দিনের কথা নিয়ে লিখতে বড় মন করছে। একান্নবর্তী পরিবার বলতে যেটা বুঝি, সেটা হলো এক হাঁড়ির ভাত পরিবারের সকলে মিলে খাওয়া। অনেকেই রসিকতা করে বলতেন- একান্ন জনের সংসার! 

একটু ধান ভাঙ্গতে শিবের গান গাই। মনে হয়, অপ্রাসঙ্গিক হবে না। ঋগ্বেদের বিবাহ সূক্তে (১০/৮৫) যে সব উক্তি আছে তার থেকে প্রমাণ পাই যে সেকালে একান্নবর্তী পরিবার ছিল। প্রাসঙ্গিক অংশটিতে পাই, বধূকে আশীর্বাদ সূচক একটি ঋক্ (৪৬)। তাতে যা লেখা আছে, তার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়- “তুমি শ্বশুরের উপর প্রভুত্ব কর, শ্বশ্রূকে বশ কর, ননদ ও দেবর গণের উপর সম্রাটের মত আধিপত্য কর।‍” বধূ বিবাহের পর এক বিরাট পরিবারের অঙ্গীভূত হত; তাকে শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, দেবরদের নিয়ে সংসার করতে হত। এই গুলো ব্যবহারিক প্রয়োজন দ্বারা যে অনুপ্রাণিত ছিল, তা পাঠক মাত্রেই বুঝতে পারবেন। আমার মনে হয়, একান্নবর্তী পরিবারের মধ্যে অনেক গুলো আকাঙ্ক্ষার মধ্যে একটা আকাঙ্ক্ষা প্রবল হয়ে আত্মপ্রকাশ করত। মানুষ হতেও মানুষের যে প্রতিকূলতা আছে তা থেকে আত্মরক্ষার জন্য একটি শক্তির প্রয়োজনীয়তা, এবং সেই শক্তি হলো যৌথ পরিবার, আর সেই যৌথ পরিবার কে সযত্নে রক্ষা করা। 

আমি সমাজতাত্ত্বিক বা শব্দ বিশেষজ্ঞ নই, তবুও আমার মনে হয় “পাড়া” এই ধারণাটা এই যৌথ পরিবার থেকেই এসেছে। তা প্রত্যেক যৌথ পরিবারেই একজন করে অভিভাবক থাকতেন, যাঁরা যৌথ পরিবারের প্রত্যেকের অভাব অভিযোগের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতেন। সাধারণত তাঁদের পরিচিতি “কত্তা” নামেই হত। “পাড়া” হত (ইচ্ছে করেই অতীত ব্যবহার করলাম) কতক গুলো যৌথ পরিবারের সমষ্টি। এখানেও একাধিক “কত্তা” থাকতেন, যাঁদের ‘দাদা’ বলা হত। ‘দাদা’ মানেই বড় ভাই আর এটা স্পষ্ট যে এঁরা কিন্তু রক্তের সম্পর্কের না হলেও , ‘দাদা’ হিসেবেই আমাদের দায়ে অদায়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন।

তা যা বলছিলাম, সেই ঋগ্বেদের যুগ থেকে কিছুদিন আগে পর্যন্ত যৌথ পরিবারের অস্তিত্ব ছিল। আর সেই যৌথ পরিবারে কিছু এমন সদস্যও থাকতেন, যাঁরা আবার গ্রাম সম্পর্কে বা দূর সম্পর্কের আত্মীয়। সব মিলিয়ে একটা জমজমাটি ব্যাপার। বেকার, সকার, নিষ্কর্মা, সব। 
দেশ ভাগ হবার পর চেহারাটা একটু একটু করে বদলাতে শুরু করল। অর্থনৈতিক অবস্থাও ভেঙ্গে পড়ার মুখে (শ্রী প্রফুল্ল রায়ের উপন্যাস আর গল্পে এর প্রতিফলন আছে)। 

যৌথ পরিবারে সব মজার মধ্যে, কোথায় যেন সুর, তাল, লয় কেটে যাচ্ছিল। যারা রোজগার করেন, তাদের পাতে একটু ভালো মন্দ জিনিস, আর যারা করেন না; তাদের পাতে ওই থোড় বড়ি খাড়া বা খাড়া বড়ি থোড়।“পাড়া”তেও কিন্তু এর প্রভাব পড়তে শুরু করল। নিমন্ত্রণ বাড়িতে কোমরে গামছা বেঁধে পরিবেশন করার সময়, গানও তৈরি হয়েছিল—“আরে যাদের পাতে মাথা মুড়ো, ওরাই কি তোদের জ্যাঠা খুড়ো?”

এই সব ধীরে ধীরে অদৃশ্য। ফলে, ম্যাটিনী শো এর টিকিট, মা, জেঠাইমা, খুড়িমাদের কেটে দেওয়ার লোকের অভাব। ঘরে বসে, রঙ মিলন্তি তাস আর কাঁহাতক খেলা যায়? পরনিন্দা, পরচর্চা শুরু হলো, আর জমতে লাগলো ধূমায়িত অসন্তোষ। আরও একটা ব্যাপার শুরু হলো, খুব আস্তে। “লভ ম্যারেজ”। “কত্তা”রা এই “লভ ম্যারেজ” ব্যাপারটা মেনে নিতে পারতেন না; নানা কারণে। জাত, পাত, সম্ভ্রম, আভিজাত্য সব মিলিয়ে একটা ভজকট ব্যাপার। ব্যাপারটা যেখানে গিয়ে দাঁড়াল, সেটা হলো যারা “লভ ম্যারেজ” করত, তারা আলাদা হতে থাকল। একটা আপাত স্বাধীনতা এদেরকে আর যৌথ পরিবারের দিকে আকর্ষণ করতে পারল না। 

এরপর, জীবিকার প্রয়োজনে... দেশে, বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে লাগল যৌথ পরিবারের লোকেরা। প্রথম প্রথম চিঠি-চাপাটি, তারপর প্রাথমিক উচ্ছ্বাস কেটে গেলে; কমে যেতে লাগল যৌথ পরিবারের বন্ধন। জীবন যাত্রার মানও বদলাতে লাগল। স্বাভাবিক ভাবেই একই যৌথ পরিবারের লোক হলেও একটা অলিখিত ফারাক চলে এলো। বাংলা ও বাঙালির বদল! বদলাতে লাগল, রুচি, ভাষা। রান্নাঘরেও এলো অন্য স্বাদ। যে বাঙালি অর্ধেক ডিম খেত, যৌথ পরিবারে; তাদের সন্তানরা খেতে লাগল দুটো করে ডিম। মুড়ি, বাদাম হটে গিয়ে এলো চাউমিন। মুরগী আর বাইরে রান্না করতে হলো না। বড় বাড়ি, প্রমোটিং-এ চলে গেল। “যত্ত সব ফালতু সেন্টু” বলার লোকের সংখ্যা অনেক বেশি। অণু পরিবারে ২ টাকায় সারাজীবন বসে খাওয়ার পিঁড়ি অদৃশ্য। নিমন্ত্রণ খাওয়াবার জন্য গামছা পড়া পাড়ার ছেলে ছোকরা? তারাও জাদুবলে ভ্যানিশ। ক্যাটারারের আবির্ভাব। “দাদা, এদিকে আরও দশ পিস মাছ” বলা আর নেই। একে তো প্লেট সিস্টেমে খাওয়া তার ওপর সব ক্যালরি কনসাশ! 

“দাদা, এদিকে জল দেখি” আর কেউ বলে না। “এই যে, জল টা নাচান তো” বলার লোকের বাড়- বাড়ন্ত।

বাবা, মার গর্ব - ছেলে বা মেয়ে, বাংলাটা বলতে পারে; কিন্তু পড়তে লিখতে পারে না।

পাড়ার রক আর নেই। ফলে, টেনিদা, ঘনাদা নেই। ঠাকুমার ঝুলি নেই। হ্যারি পটারের বা হরি কুমোরের লেটেস্ট এডিশন কেনার জন্য ভোর থেকে লম্বা লাইন।

ঠাকুমা, ঠাকুরদারা সব বৃদ্ধাশ্রমে। যৌথ পরিবার? হা হা হা! 

খালি আমরা কিছু পাগল লোক, লবেঞ্জুসের মত তারিয়ে তারিয়ে স্মৃতি টাকে চুষে চুষে খাচ্ছি। 

আর কাজ নেই হে? “যত্ত সব ফালতু সেন্টু”!!


****************
লেখকের সম্পর্কে জানতে এই পাতায় আসুন

25 comments:

  1. khub nosTAlgic ekta lekha... mon kharap kora...

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনবদ্য ঘনাদা... অসম্ভব সুন্দর... কেবল মনটা একটু ভিজে গেলো... আর সেখানেই তোমার লেখার জিত...

      Delete
  2. Ghonada-r lekha kono kotha hobe na. Uni hole amader generation-er Sidhu Jyatha, onar theke amra sei byapar gulo jante pari jegulo google jane na. Etar tar modhye pore. Hardly Google has an idea of joint family.

    ReplyDelete
  3. Ekannoborti poribarer ekhon kebol 'Eka' tukui poRe achhe. ajkal anubikkhonik poribare sondhebelay golpo bolar,chhade boRi shukote debar, mathay besh kore tel makhiye debar keu nei; dorkar o hoyna, athoba beshir bhag loker kachhei esob bahulya matro.Manob premiker cheye ajkal poshu poshupremiker sonkhya beshi.(Bhabben na je amar poshuprem nei).Tobe atishojya dekhle mone hoy songi hisebe poshyora jekono manusher cheye beshi lobhoniyo, karon tara anyay(!)abdar korena, jama-kapoRer khoroch nei,schooleo pathate hoyna. Sobai ajkal jar jar niye byasto. Amader chhotobelay tao dekhtam koto 'tuto' bhaibonera amader baRite theke poRashuno korto.Ajkal bhabai jayna.
    Ghanadar lekhar ami andho bhokto. Ei lekhatao gograse gillam. montobyo ajotha deergho holo bodh hoy.

    ReplyDelete
  4. sobar eksathe boshar jonyo saree pata.. byasto somoy kather piri, kashar thala, kashar gelas, matir unun, peethe puli taler bora, naru gora..... :)

    ReplyDelete
  5. onobodyo lekha ! kono kotha hobe na! Ae sujoge akta valo blog dekhlam ! sob porte hobe

    ReplyDelete
  6. অনেক কিছু একসঙ্গে হুড়মুড়িয়ে মনে পরে গেলো...

    ReplyDelete
  7. এ সব আমার নিজের চোখে দ্যাখা... আর কী বলবো... ?... কিছু বললেই তো এখনও আমাকে শুনতে হয় "যত্ত সব ফালতু সেন্টু"...ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতাটাই তো আর নেই...কাকু সিঙ্গারা আনলে কাকিমা তার ছেলেকে বলেন... "তোর বাবা এনেছে তা অন্যকে দিবি কেন?"... আবার প্রায় সেই একই পরস্থিতিতে জ্যাঠাইমা বলেন তার ছেলেকে,"ওরা যখন এনেছিল সিঙ্গারা তখন তোকে ডেকেছিলো?" ... যৌথ পরিবার অনেক আন্তরিকতা দাবী করে... দুঃখের(বলতেও ভয় করে, কেউ হয়তো আমাকে ন্যাকা বলবেন) বিষয় সেই আপন করে নেওয়ার ক্ষমতাটাই আর নেই...আর বাংলা মিডিয়মে কারা পড়ে জানেন তো?... আমার মতো কিছু পাড়া গেয়ে ভুত...যার বাবার আর্থিক সামর্থ তুলনামূলকভাবে কম...কাজেই বাংলা মিডিয়ম-এ পড়া ছাড়া উপায় নেই... ঠাকুরমার ঝুলির কথা বাদ দিন ...যেসব হতভাগা ঠাকুমা-ঠাকুরদার মুখই দ্যাখেনি তাদের আবার ঝুলি!..

    ReplyDelete
  8. বাকরূদ্ধ! লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা!

    ReplyDelete
  9. Oshadraon, amader elannoborti poribar chilo, er anondo je ki ta amra jani. Darun prashongik lekha.

    ReplyDelete
  10. “যত্ত সব ফালতু সেন্টু”! একান্নবর্তি পরিবার শব্দটির সাথে জীবনের তিন চতুর্থাংশ সময় কেটেছিল। সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে আর ঐ কর্তা নামক ব্যক্তিটি গত হবার পরেই ধীরে ধীরে টুকরো হয়ে গেলো।মনে পরে এখনো সেইসব দিনগুলির কথা। কাকাতো জেটাতো ভাই বোন সবাইকে এক জায়গায় জড়ো করে মা বড়ো একটা থালায় ভাত নিয়ে খাওয়াতেন। অরুচি হলেও কেওর পক্ষে পৃথক করে খাও্রয়ার কোন সুযোগ ছিলনা।যোথ ফান্ড থেকে মেয়েদের বিয়ের খরচ হতো।গৃহ শিক্ষক ছিলো সবার জন্যে একজনই। পুজোর পোষাকও হতো সবার একই রকম।পছন্দ-অপছন্দ বরে কোন শব্দ ছিলনা।সত্যি এইসব আজ অদৃশ্য হয়ে গেলো। তাইতো শুনছি “ লবেঞ্জুসের মত তারিয়ে তারিয়ে স্মৃতি টাকে চুষে চুষে খাচ্ছি।” রামকৃষ্ণ-দা ভাগ্যবান । তাইতো তিনি ঘনাদা। শুনছি তিনি বর্তমানে গিন্নির ফরমায়েষ খাটেন। বাহঃ এটাও সুখকর বঠে। পরস্পরের মাঝে নৈকট্যকে ধরে রাখা এটাও কি সুখানুভুতি নয়। এ যদি শীবের গীত হয় তাহলে লেখাটা কপি করে নিলাম যাতে প্রতিদিন গাইতে পারি। জানিনা মনের অগোচরে কোন কালিমা জমে আছে কিনা-যদি থেকে থাকে তাহলে এই গীতখানা হয়তো পরিশীল করে দিতে পারে বরে আমার বিশ্বাস।“এই যে, জল টা নাচান তো” বলার লোকের বাড়- বাড়ন্ত। হাঁ একদম ঠিক কথাটা..........

    ReplyDelete
  11. “যত্ত সব ফালতু সেন্টু”! একান্নবর্তি পরিবার শব্দটির সাথে জীবনের তিন চতুর্থাংশ সময় কেটেছিল। সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে আর ঐ কর্তা নামক ব্যক্তিটি গত হবার পরেই ধীরে ধীরে টুকরো হয়ে গেলো।মনে পরে এখনো সেইসব দিনগুলির কথা। কাকাতো জেটাতো ভাই বোন সবাইকে এক জায়গায় জড়ো করে মা বড়ো একটা থালায় ভাত নিয়ে খাওয়াতেন। অরুচি হলেও কেওর পক্ষে পৃথক করে খাও্রয়ার কোন সুযোগ ছিলনা।যোথ ফান্ড থেকে মেয়েদের বিয়ের খরচ হতো।গৃহ শিক্ষক ছিলো সবার জন্যে একজনই। পুজোর পোষাকও হতো সবার একই রকম।পছন্দ-অপছন্দ বরে কোন শব্দ ছিলনা।সত্যি এইসব আজ অদৃশ্য হয়ে গেলো। তাইতো শুনছি “ লবেঞ্জুসের মত তারিয়ে তারিয়ে স্মৃতি টাকে চুষে চুষে খাচ্ছি।” রামকৃষ্ণ-দা ভাগ্যবান । তাইতো তিনি ঘনাদা। শুনছি তিনি বর্তমানে গিন্নির ফরমায়েষ খাটেন। বাহঃ এটাও সুখকর বঠে। পরস্পরের মাঝে নৈকট্যকে ধরে রাখা এটাও কি সুখানুভুতি নয়। এ যদি শীবের গীত হয় তাহলে লেখাটা কপি করে নিলাম যাতে প্রতিদিন গাইতে পারি। জানিনা মনের অগোচরে কোন কালিমা জমে আছে কিনা-যদি থেকে থাকে তাহলে এই গীতখানা হয়তো পরিশীল করে দিতে পারে বরে আমার বিশ্বাস।“এই যে, জল টা নাচান তো” বলার লোকের বাড়- বাড়ন্ত। হাঁ একদম ঠিক কথাটা..........Ratan Das

    ReplyDelete
  12. অসাধারণ হৃদয়স্পর্শী একটি লেখা ........ একান্নবর্তী পরিবার আমাদেরও ছিল, সত্যিই সম্পর্কগুলো কেমন হয়ে যাচ্ছে এখন সব.... সেই ঘুরেফিরে একই কথা মনে হয়--'আমরা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!!!'

    ReplyDelete
  13. আচ্ছা একান্ন কেন বাহান্ন নয় কেন? তবে খুব সুন্দর বিশ্লেষণ।

    ReplyDelete
  14. DARUN LEKHA EBONG EI BLOG

    BIBEK DEBNATH

    ReplyDelete
  15. ঘনাদা ।

    দারুন লিখেছো ।

    ReplyDelete
  16. ঘনাদা "চোখে আঙ্গুল দাদা" !!

    ReplyDelete
  17. একেবারে ঘনাদাসুলভ প্রাঞ্জল লেখা। আমি নিজেও এগুলো সত্যি খুব, মিস করি বলব না, কারণ এগুলো প্রায় আমার দেখাই হয়নি। তবে সামান্য অভিজ্ঞতার ছোঁয়া পেয়েছি দেশের বাড়ির দুর্গাপুজোর খাতিরে। সেই ছ' বছর থেকে এক এক করে বয়স বেড়েছে আমার, স্নেহ উপচে দেবার মত অজস্র গুরুজন আজ মাথার ওপর থেকে সরে গেছেন অনন্তলোকে, তবু যাঁরা আছেন, এখনো একসাথে হলে খানিকটা বুঝি আরো কী কী পেতে পারতাম নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির এই কেরিয়ারের সিঁড়ি ওঠা জীবনচর্যা ছাড়া। মাঝেমাঝে অন্ধের হাতীদর্শনের গল্পটা মনে পড়ে যায় ! যাকে জীবনের সম্পূর্ণতার বৃত্ত বলে ভাবি, হয়ত তার আবহে-ই কোথাও রয়ে গেছে আরো বড় ব্যাসের অসম্পূর্ণতার বৃত্ত, যা আসলে অদৃশ্যভাবে ঢেকে রেখেছে এই ছদ্মসম্পূর্ণতা।

    ReplyDelete
  18. Darun Ghanada... khub valo laglo pore... r maa babar mukhe shona kichhu kotha abar notun kore mone porlo.. Mayer mukhe sunechhi,Chhiter kapor kine pujoy sobar jonyo akrokom jama toiri kore dito amar dimma... Akta dim akjoner khawa chilo akebarei osomvob, shuto diye naki sedhho dim ta ke 2 vag kora hoto.

    ReplyDelete
  19. তোমার লেখা বলেই বলছি ! বড় সংক্ষেপে লিখেছ বলে মনে হল । আরও অনেক কিছু লেখার ছিল । একটু বিশদ করলে ভালো হতো । তাহলেও ভাললেগেছে ।

    ReplyDelete
  20. ভালো লাগা ও মন্দ লাগা একসাথে মনের ভিতর ভুরভুর কচ্চে। ভালো লাগা কারন লেখাটা ভালো। আর মন্দ লাগার কারন, ওইরম বিশাল বড় একটা বাড়ি যার গপ্প শুনে বড় হয়েছি মা-বাবার কাছ থেকে, তার মজা, আনন্দ, খেলুড়ের দল, খুনসুটির পুরোটা কোনটাই পাই নি। বলতে পারো, ১০% পেয়েছিলুম অনেক ছোটতে। তাতে আমার মন তো ভরেই নি উল্টে হাঁচড় পাঁচড় অবস্থা। আমি আবার বড্ড লোক-জনে ভত্তি গমগমে বাড়ি ভালোবাসি, দাদু-দিদা (যাঁদের ওপর আমার খুব রাগ, আমাকে আদর না করেই সাত তাড়াতাড়ি ঘগমানের বাড়ি পালিয়ে গেচেন বোলে), একদল জেঠু-জেঠি(একজনও নেই)-কাকা-কাকি-ভাই-বোন। আমার একটাও বোন নেই। ধুসসসসস... আগেকার দিনটা বড্ড ভালো ছেল, এক্কেরে রূপকথার মতন।

    ReplyDelete
  21. আর একটু বিশদ হলে ভালোহতো মনে হোল । বড় সংক্ষেপে লিখেছ ।

    ReplyDelete
  22. এখন অনেকে বলে যে "আমরা জয়েন্ট ফ্যামিলি ,কিন্তু হাড়ি আলাদা" ।
    তবে সত্যি কারের যৌথ পরিবারের মজা আলাদা মামা বাড়ি গেলে সেটা বেশ উপলব্ধি করতে পারতাম .

    ReplyDelete
  23. If you're looking to lose fat then you certainly have to jump on this totally brand new personalized keto meal plan.

    To create this keto diet service, certified nutritionists, fitness couches, and top chefs have united to develop keto meal plans that are effective, convenient, cost-efficient, and delicious.

    Since their launch in early 2019, hundreds of people have already transformed their figure and well-being with the benefits a good keto meal plan can provide.

    Speaking of benefits: in this link, you'll discover 8 scientifically-proven ones provided by the keto meal plan.

    ReplyDelete