Contributors


শমীকের জন্ম, কর্ম, ব্যর্থ প্রেম, বিয়ে এবং প্রথম সব কিছুই একেলে কলকাতায়। পার্ক সার্কাস-সি.আই.টি রোড, গড়িয়াহাট-গোলপার্কে সাইকেল চালিয়ে, ক্রিকেট, ফুটবল খেলে, প্রচুর আড্ডা মেরে সাধারণ বড়ো হওয়া। পাঠ ভবন স্কুল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়পড়তা পড়া, জুওলজিতে পি.এইচ.ডি করতে করতে ছেড়ে দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু। সব ব্যবস্থা করেও শেষ অবধি আমেরিকায় পড়তে না যাওয়া। স্টিফেন হকিং থেকে অমিতাভ বচ্চন- প্রচুর মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া, প্রচুর লেখা। সাড়ে পাঁচ বছর সাংবাদিকতার পর আপাতত কলকাতার মার্কিন দূতাবাসে সাংস্কৃতিক আধিকারিক। ভালোবাসে গাড়ি, ঘড়ি, ঘুম, গ্যাজেট, গান, বই, বেড়ানো, সোশ্যাল মিডিয়া, সিনেমা এবং প্রিয়জন- বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অনর্গল আড্ডা... আর? আনন্দবাজার সহ ইতিউতি টুকিটাকি লেখালেখি এখনো চালিয়ে যাওয়া।


বাবা মা নাম রেখেছিলো সঞ্চারী। নামটার সঙ্গে গতির সম্পর্ক থাকলেও আমি কিন্তু মোটেই গতিশীল নই, একেবারে উদ্ভিজ্জপ্রকৃতি। সেই সঙ্গে লেখা দিতেও খুব দেরি করি... তবে হ্যাঁ, লিখতে কিন্তু দিব্যি লাগে। নিজের ইচ্ছেয় লিখি, পড়ে কেমন লাগবে সেটা ভেবে নয়। তবে সবার ভালো লাগলে পরের লেখাটা তাড়াতাড়ি হয়, এই যা...







ছবি দেখে হাসি পেলেও এই দেড়েল খুব সিরিয়াস রিসার্চ স্কলার। ব্যস্ত মানুষ। হাতে সময়ের অভাব,তাও সুযোগ পেলেই জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই নিখুঁত ভাবে করতে পারেন।







জন্ম: হিরোশিমা দিবসে, সাল: ১৯৯০, জন্মস্থান: মালদা, বেড়ে ওঠাও বর্তমান হুগলীতে। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক। ক্লাস নাইনে জয় গোস্বামীর কবিতা পাঠ ও সাক্ষাৎকার শুনে লেখালেখিতে আসা। সেই থেকে শব্দের সাথে ঘর বসত।
শখ- গান শোনা।



সারাদিন ফিজিক্সের কচকচানি সামলেও মনে-প্রাণে ইনি একজন শিল্পী। যারা ওর কাজের সাথে পরিচিত নন তাঁরা এই পাতা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এঁর কলমের জোরও কিন্তু মারাত্মক...




অত্যুৎসাহী হাতি। সব কিছুতে সব সময়ে শুঁড় গলানোর ফলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নাক বলে ভ্রম হয়। পেশা- পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া, নেশা- লেখাপড়া ছাড়া প্রায় সব কিছু, দুর্বলতা- আসলে অপদার্থ। তবে ঈর্ষণীয় বন্ধুভাগ্যের অধিকারী। সেই আনন্দেই 'কথা'র জন্ম- যা নিজেই এখন আনন্দের উৎস হয়ে গেছে।


শর্মিষ্ঠা:




জন্ম, কর্ম সবই উত্তরবঙ্গের সবুজের ছোঁয়ায়। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ''অলীক অলীক ভালোবাসা''। প্রকাশিত হতে চলেছে এপার বাংলা - ওপার বাংলার আরও চারজন কবির সাথে একত্রে একটি কাব্যগ্রন্থ ''নাকছাবির কথকতা''। 


অরুণাচল:





সরকারী হাসপাতালে কাজ হলো পেশা। আর লেখা হলো নেশা। মূলত: কবিতা, কখনও সখনও গদ্য। আপাতত হাঁ করে তাকিয়ে আছেন রিটায়ারমেন্টের দিকে, যাতে ফুল-টাইম লেখালেখি করা যায়।




প্রমিত:

না জানি কি হয়, নামটা তাই আড়াল রাখবোই ভেবেছিলাম। কিন্তু প্রকাশককুলের অনুরোধে শেষ অবধি ছদ্ম নামের গোপন নিশ্চিন্ত আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতেই হলো। তবু পরিচয় দানের ভাষ্যকার হিসেবে তৃতীয় পুরুষ অপেক্ষা উত্তম পুরুষকেই বেশি নির্ভরযোগ্য বলে মনে হলো! যতোটা আড়াল রাখা যায় আর কী! আসলে গত কিছুদিন যাবৎ আশা এবং তার পরিণতির বিস্তর ফারাক-ই বোধহয় সাহস জোগাল আরো কিছু ব্যঙ্গ চিত্র আকা থুড়ি লেখার, আশা করি কেউ ‘decomposed’ ভেবে আমায় শূলে চড়াবেন না!

Chayan is an Engineer by profession and working for Transfield Worley NZ , New Plymouth, New Zealand. He believes in creative freedom and photography is purely his labour of love. His works are inspired by the nature, the people & the events around him. More results of his photographic adventure can be accessed at his flickr profile: http://www.flickr.com/photos/chayanphotography/6404184157/in/photostream


অভীক:
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, নেশায় কি ঠিক নিজেই জানে না। উৎসাহ অনেক কিছুতেই, কিন্তু পল্লবগ্রাহীর গণ্ডি পেরনো হয়নি কোনটাতেই। তবে হিজিবিজি ছড়া লেখার অভ্যেস ছোটবেলা থেকে। কাজের সূত্রে বেলজিয়ামে ছিল এক বছর, তখনই ইউরোপের এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো, আর সেই বেড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়েই এখন টুকটাক লেখালেখি।


নীল:


ছোট থেকে বড় হওয়া সবটাই মফঃস্বলে। এখন ঠেক জমেছে শান্তিনিকেতনে। পুরোদস্তুর নেশাখোরের অনেক নেশার মাঝে একটা হলো লেখা-লিখি। কাজ কম্মো কিছুই এখনো নেই, যাকে বলে কাঠ বেকার। আপাতত দিন কাটছে ক্যান্সার নিয়ে রিসার্চ করে। ভালোবাসি তাই লিখি, এটাই লেখার প্রেরণা।


কৃষাণু:

আপাতত কলকাতা-তেই থাকা হয়। এক বিলিতি কোম্পানি আট-দশ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে ক্ষুন্নিবৃত্তি বাবদ কিছু দ্যায়। ছবি-টবি তোলা, পেট-পুরে খাওয়া আর পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ায় বিশেষ উৎসাহ আছে। এখানে একবার চোখ রাখতে পারেনhttp://www.flickr.com/photos/krishanu-photography/


জয়দীপ:

শেষ পর্যন্ত “বহুরূপী”র আসল রূপটা প্রকাশ করতেই হলো (প্রকাশকদের আদেশ/অনুরোধ শিরোধার্য!)। কলমের জোর নড়বড়ে তবু চেষ্টার ত্রুটি নেই আর লেখার জগতে পরিচিতি বিশেষ নেই বলে হাঁপ ছেড়ে লেখা সম্পূর্ণ মনের আনন্দে, বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা নিজের ভালোবাসার তাগিদে। পেশাটা পদার্থবিদ্যায় শিক্ষকতা, তবে পেশার থেকে নেশার অংশই বেশি। অতীতের আনাচে-কানাচে উঁকি-ঝুঁকি মারার বদভ্যাস বহুদিনের। অবশ্য পড়াশোনা ছাড়া অনেকটা সময় দখল করে থাকে সিনেমার আলো-আঁধার। 

কৌশিক:

জন্ম 8ঠা জানুয়ারি, ১৯৮৩। উত্তর কলকাতার মফস্বলে কেটেছে ছেলেবেলা। পড়াশুনো কলকাতাতেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করি 2004-এ। বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে একটি বহুজাতিক সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিতে কর্মরত।




ঘনাদা:

দমদমের বাসিন্দা, রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য অন্তর্জাল জগতে “ঘনাদা” নামেই সুপরিচিত। গণিত শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে ওনার, তবে ওনার মতে তিনি ক্লাস ওয়ানের অঙ্কও করতে পারেন না। ২০০৩ এ অবসর গ্রহণ করেছেন, একটি নামকরা ওষুধ প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক হিসেবে। প্রায় সমস্ত ভারত কর্মসূত্রে ঘোরা! চারটি ভারতীয় ভাষা অনর্গল বলতে, পড়তে, লিখতে পারেন। জ্যোতিষ শাস্ত্রে তাঁর আগ্রহ সুবিদিত। বর্তমানে লেখালেখির পাশে পেশাদারী জ্যোতিষী ও করেন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী – অবসরের জীবনে গিন্নির ফাইফরমাশ খাটেন আর দিনভর বকুনি খান।

Leave a Reply